জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনা লুটপাট করে স্বামীর বাড়ি চলে গেছেন: রিজভী

প্রবাহ রিপোর্ট : শেখ হাসিনা দেশের সম্পদ লুটপাট করে স্বামীর বাড়ি চলে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, হাসিনা ও তার দোসররা বলেছিল, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর। তারা বিদ্যুতের সাড়ে চার কোটি প্রিপেইড মিটার দেয়াসহ এ খাতে ভর্তুকির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপি আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার মতো নির্মম নিষ্ঠুর পাশবিক স্বৈরশাসক এ দেশে আর ক্ষমতায় আসবে না। হাসিনা মনে করেছিল ক্ষমতা তার বাপের জমিদারি। তাই সে জনগণকে চাকর-বাকর মনে করতো। সমালোচনা করলেই তাকে অদৃশ্য করে ফেলতো। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ দানবকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, মেট্রোরেল, শেয়ার বাজারসহ বড় বড় মেঘা প্রকল্প থেকে বিপুল অংকের টাকা লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করে এখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। হাসিনার দোসররা ভাই-ভাই, চাচা-ভাতিজা, মামা-ভাগিনা সিন্ডিকেট করেও অনেক টাকা লুট করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনারা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকারে গেছেন। আপনাদেরকে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সমর্থন দিয়েছে। আপনারা নির্বাচনের কথা বলেন, কিন্তু কোন ডেডলাইন ঘোষণা করনে না কেন? রিজভী আরও বলেন, আমরা কি ছাত্র? শিক্ষক সেজে আমাদের ছাত্র ভাববেন না। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করা একটি পরিপক্ক দল। আপনারা যদি মনে করেন হেডমাস্টার সেজে সিলেবাস তৈরি করে রাজনৈতিক দলকে শিক্ষা দিবেন তা হবে না। তিনি বলেন, সংস্কার কি তা আমরা জানি। সংবিধান, নির্বাচন কমিশন কিভাবে হবে তাও আমরা জানি। আপনারা যদি মনে করেন আমরা এ, বি, সি, ডি জানি না তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, আপনারা ৫ আগস্ট বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে সব বিভাগে স্বৈরাচারের দোসর বসিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবেন না। এছাড়া যে মেয়েটি শেখ মুজিবের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছে তার স্বামীকে কেন উপদেষ্টা করা হলো, তা জনগণ জানতে চায়। এটা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবু কামাখ্যা চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে জনসমাবেশের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু। প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাকারিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সদস্য শামিমা বরকত লাকি, মাহবুব আলমগীর আলো, চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন প্রমুখ। সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে উপহার সামগ্রী দেয়া হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button