৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা: সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাতিজা গ্রেপ্তার

প্রবাহ রিপোর্ট : ২০১৫ সালে বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার তোফায়েল উপজেলার বুসয়ারা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। পুলিশ সূত্র জানায়, মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল চৌদ্দগ্রামে আট বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে। তিনি মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় ওই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে বাসের মালিক আবুল খায়ের মামলাটি করেন। এতে আসামি করা হয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এবং একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ১৩০ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৬০ জনকে।