জাতীয় সংবাদ

সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন

প্রবাহ রিপোর্ট : সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইসড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী মোহাম্মদ ফজলুল করীমের স্মৃতির প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির প্রশাসনিক কাজ চলবে। বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদ-ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আহমদ কবির ও মা সুনিয়া আরা বেগম। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৬৯ সালে লিঙ্কনস ইন থেকে বার করেন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৭০ সালে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং ২০০১ সালের ১৫ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসাবে উন্নীত হন। মোহাম্মদ ফজলুল করিম জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইস্যুতে বিচার বিভাগীয় শিক্ষা’ বিষয়ক দিল্লিভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাডভাইজরি ফোরামের সদস্য। বিচার বিভাগীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আদালত প্রশাসন ও আদালত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের চেয়ারম্যান এবং মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরিকল্পনার সদস্য ছিলেন। বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টার শোক: সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম। সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button