জাতীয় সংবাদ

নগরীর নান্দনিক সড়কবাতি এখন রাসিকের গলার কাঁটা!

৪২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া

প্রবাহ রিপোর্ট : উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় শহর রাজশাহীর নান্দনিক সড়কবাতিগুলো এখন সিটি করপোরেশনের গলার কাঁটা হয়েছে। এসব সড়কবাতির অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল গুনতে হিমশিম খাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে সিটি করপোরেশনের বকেয়া জমেছে ৪২ কোটি টাকা। এসব সড়কবাতির প্রয়োজনীয়তা ও অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর সড়কবাতির বিদ্যুৎ ব্যয়ের বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান কর্তৃপক্ষ সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদাসীনতাকেই দুষছেন। এসব সড়কবাতিতে অনর্থক অর্থ অপচয় করা হয়েছে বলে অনেকের অভিমত। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্মকর্তারা জানান, রাসিকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার বিষয়টি নতুন নয়। তবে কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক বেড়েছে। বর্তমানে রাসিকের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৪২ কোটি টাকা। বকেয়া পরিশোধে রাসিকে প্রায়ই চিঠি পাঠানো হয়। সংস্থাটি নাগরিক সেবায় সংশ্লিষ্ট বলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয় না। রাসিক সূত্র জানায়, মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা-বহরমপুর-বন্ধগেট, তালাইমারী-কোর্ট, তালাইমারী-কাটাখালী ও আলিফ-লাম-মিম ভাটা থেকে বিহাস পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার সড়কে আধুনিক নান্দনিক সড়কবাতি রয়েছে। প্রায় ১৫ মিটার দূরত্বে বসানো হয়েছে পোল। এসব সড়কবাতি তুরস্ক, চীন ও ইতালি থেকে আনা। এছাড়া ১৮টি মোড়ে পোলে ফ্লাডলাইটও বসানো হয়েছে। ১০৩ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সড়কবাতি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন চলছে মেরামত বা সংস্কার। অতিরিক্ত সড়কবাতির কারণে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল টানছে রাসিক। রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন বলেন, শুধু সড়কবাতিই নয়, চারটি জোনের পানির পাম্প, বিভিন্ন স্থাপনা ও আরবান হেলথ কেয়ারে ব্যবহৃত বিদ্যুৎবিল পরিশোধ হয়নি সাবেক মেয়রের উদাসীনতায়। বর্তমানে বিদ্যুতের অপচয় কমিয়ে বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসের বকেয়া পুঞ্জীভূত হয়ে বড় অঙ্কে দাঁড়িয়েছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ টাকা বিদ্যুৎবিল শোধ করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিকের প্রশাসক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রায়ই গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সড়কবাতির রেশনিং চলছে। বিদ্যুৎবিল যা আসার এসেছে। এগুলো ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হবে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button