জাতীয় সংবাদ

নড়াইলে ছাত্র আন্দোলনে গুলির ঘটনায় মামলা, আসামি ৫২৯

প্র¦বাহ রিপোর্ট : নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও মারধরের ঘটনায় ২৯ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পলইডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আইনজীবী রিয়াজুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলো- নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জেলার সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল, সদর উপজেলা শাখার বর্তমান সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুল, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ, লাহুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন, লাহুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল সালাম সিকদার প্রমুখ। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে গত ৪ আগস্ট নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের হামলা চালায়। নড়াইল শহরের রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে এবং সেতুর ওপর দিয়ে শহরে প্রবেশের সময় তারা ছাত্র-জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এছাড়া বোমাবর্ষণ ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা এনায়েত হোসেন, সাফায়েত মোল্যা, জামিরুল ও উজ্জ্বল শেখের হাতে থাকা অবৈধ শর্টগান, রিভলবার ও পিস্তল দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় এবং বোমা বর্ষণ করে। আসামিদের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। এ সময় শফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বাদীকে সেতুর ওপর থেকে চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়। গতকাল সোমবার সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button