জাতীয় সংবাদ

কুয়াশা কাটায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল শুরু

প্রবাহ রিপোর্ট : ঘন কুয়াশা কারণে বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের আরিচা-পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল। এর মধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে ৯ ঘণ্টা এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১১ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল রোববার সকালে বিআইডব্লিউটিসি এর সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, গত শনিবার রাত ১১টার পর থেকেই নদীতে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে থাকে। কুয়াশার কারণে চ্যানেলের মার্কিং পয়েন্ট অস্পষ্ট হয়ে গেলে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ পথে রাত ১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময় মাঝ নদীতে বিএস জাহাঙ্গীর ও বাইগার নামের দুটি ফেরি আটকে থাকে। গতকাল রোববার সকালে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, কুয়াশা কেটে নদীপথে দৃষ্টিসীমা বাড়ায় সকাল সাড়ে ১০টায় দৌলতদিয়া থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে এই নৌপথের মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ফেরি চলাচল শুরু হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি এর সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম। অপরদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে গত শনিবার ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান। তিনি জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় মাঝনদীতে খান জাহান আলী নামের ফেরি যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে আটকে থাকে। পরে কুয়াশা কেটে যাওয়ায় গতকাল রোববার সকাল ১০টা ৪০ থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয় বলে জানান তিনি। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন আটকে ছিল বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যাবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন। সকাল ১০টায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কথা হয় রাজবাড়ী থেকে আসা রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী মো. আল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুপুর ১টায় আমার ফ্লাইট। সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ঘাটে আটকে আছি। কখন ফেরি চালু হবে আর কখন যাবো সেটা বলতে পারছি না। মনে হয় আজ (রোববার) বিমানবন্দরে পৌঁছাতে বিকাল হয়ে যাবে। যশোর পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা বাসের চালক আকাশ বলেন, রাত ১টার সময় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসে জানতে পারি ফেরি চলছে না। তখন থেকে গাড়িতেই বসে আছি। সারা রাত ঘুমাতে পারি নাই। গাড়িতে থাকা যাত্রিরাও সারারাত কষ্ট করেছে। বরিশাল থেকে আসা শামিম এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের যাত্রী মো. মাসুদ বলেন, সারারাত ঘুম নেই, কী যে কষ্ট সেটা বোঝাতে পারবো না। যাদের সাথে নারী ও শিশু আছে তাদের অবস্থা আরও খারাপ। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, সকালে ফেরি চলাচল শুরু হবার পর আটকে থাকা যানবাহন সিরিয়াল অনুযায়ী পার করা হচ্ছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button