খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানে নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়

প্রবাহ রিপোর্ট : উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন যাত্রার প্রাক্কালে তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, ফিরোজার সামনের সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন। বিকেল থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতিও বাড়ছে। ‘ফিরোজা’ থেকে রাত ৮টায় বেরিয়ে একটি গাড়িতে করে গুলশান ২-এর গোল চত্বর ও বনানী-কাকলী হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান খালেদা জিয়া। বিমানবন্দরেও তার আগমন ও বিদেশযাত্রা ঘিরে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি ও সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমের সদস্যরা। এছাড়া অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও থাকেন নিজ নিজ দায়িত্বে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। পরে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হসপিটালেই লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেয়। সে হিসাবে তিনি লন্ডন যাচ্ছেন। সেখানে ‘লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি হতে পারেন খালেদা জিয়া। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে তিনি যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রেও। খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির রাজকীয় বহরের এক বিশেষ ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ পাঠিয়েছেন।