জাতীয় সংবাদ

আ. লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রবাহ রিপোর্ট : সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনেন্সিয়াল টাইম তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিবাদকারীদের উপর দমন-পীড়নে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও দলটির একজন সিনিয়র সদস্যের সঙ্গে দেখা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডিসেম্বরে গ্লাসগোর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে একটি ব্ল্যাক-টাই ডিনার ইভেন্টে সিলেটের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন স্টারমার। দুজনের কথোপকথনের সময় তাদের ছবি তোলা হয়েছিল। স্টারমার আরেকটি ছবি তুলেছেন যেখানে তাকে লেবার পার্টির জন্য একটি অনুদান চেক গ্রহণ করতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এবং আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। পরে সাদিক খান সে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, গত মে মাসে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করা তার জন্য ‘সত্যিকারের সম্মানের বিষয়’ ছিল। এটি ছিল লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের আগে। সেই সাক্ষাতের সময়, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খানের জন্য প্রচারণার কাজ করছিলেন। এই ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে তার মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমটির অনুরোধে সাড়া দেননি। মূলত এই সাক্ষাতের পেছনে ছিল ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং নির্বাচনী সমর্থন জোগাড়ের লক্ষ্যে লেবার পার্টি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েক দশকের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। ব্রিটেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসনে প্রভাব ফেলতে বাংলাদেশি ভোটারদের ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আওয়ামী লীগ পরিবারের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং দলের সঙ্গে যুক্ত লেবার মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার ভাগিনি টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পর্ক, এই দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছিল। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কর্মীরা সে সময় ব্রিটেন জুড়ে লেবারের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন এবং টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচার কার্যক্রমেও তাদের দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাভান্টা পোলস্টারের রাজনৈতিক গবেষণা পরিচালক ক্রিস হপকিন্সের জানান, লেবার পার্টি প্রবাসী ভোটারদের উপর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর চেয়ে বেশি নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা লেবারকে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং জোট তৈরি করতে বাধ্য করে। হপকিন্স বলেন, ওয়েস্টমিনস্টারের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে এই বিষয়টি খুব একটা প্রাধান্য পেতে নাও পারে। তবে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক হোক বা ভুল, লেবারকে হয়ত দায়িত্বহীনতার জন্য দোষী করা হবে।
সূত্র: ফিনেন্সিয়াল টাইমস

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button