জাতীয় সংবাদ

দীর্ঘ সময় পর পর পাকিস্তান সফরে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদল

প্রবাহ রিপোর্ট : দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এই সফর বহু বছর পর ইসলামাবাদ সফরকারী প্রথম কোনো বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর সফর। জেনারেল এস এম কামরুল হাসান সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল সদর দপ্তর (জিএইচকিউ) পরিদর্শন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলটি। পাকিস্তান ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদলের এই সফরকে ‘বিরল’ সফর বলে আখ্যায়িত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থবির ছিল, হাসিনা বারবার পাকিস্তানের শান্তি প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু তার উৎখাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি উভয় পক্ষই তাদের যোগাযোগ বাড়িয়েছে এবং সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য গত কয়েক মাসে শীর্ষ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে। এরপর একজন সিনিয়র জেনারেলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদলের এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের আরেকটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মধ্যে বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, উভয় জেনারেলই একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা বহিরাগত প্রভাব থেকে প্রতিরোধ থাকার ওপর জোর দেয়। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচারের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় উভয় দেশ যৌথ প্রতিরক্ষা উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান ও তার প্রতিনিধিদল সিজেসিসি জেনারেল মির্জার সঙ্গে যৌথ স্টাফ সদর দপ্তরে (জেএসএইচকিউ) বিশদ বৈঠক করেন। তাদের আলোচনায় পারস্পরিক কৌশলগত স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয় এবং দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই সামরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয় এবং এই অংশীদারত্বকে যেকোনো বহিরাগত বাধা থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button