জাতীয় সংবাদ

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

প্রবাহ রিপোর্ট : কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার পাওয়া গেলো রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও। সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা চলে টাকা গণনার কাজ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকাল ৭টায় মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৮ বস্তা টাকা। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্সগুলো খুলে টাকা বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনার কাজ শুরু হয়। গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গুণে হিসাব করে মেলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। শেষ হিসাব অনুযায়ী এবার ৪ মাস ১১ দিন পর খোলা হলো মসজিদের দানবাক্স। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্সগুলো দেরিতে খোলা হয়েছে। দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। টাকা গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। তা ছাড়া দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে চারশ লোক টাকা গণনার কাজ করছেন। জনশ্রুতি আছে, এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর এখানে নির্মিত মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়– এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। গত কয়েক বছর ধরে দিন দিন বাড়ছে দানের টাকার পরিমাণ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button