আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে চিন্ময় দাসকে

প্রবাহ রিপোর্ট : কারাগারে আটক সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত রোববার আইনজীবী আলিফ হত্যা, পুলিশের কাজে বাধাদান, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ চার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলাটি ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বাকি তিন মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানি আজ মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা গত রোববার আদালতে আবেদন করেন। আদালত গতকাল সোমবার আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে দাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। বাকি তিন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদনের ওপর মঙ্গলবার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতন সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এর কয়েকদিন পর ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত। সেদিনই চিন্ময় দাসের আইনজীবীরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে আবার জামিন আবেদন করেছিলেন। তার জামিন ঘিরে সংঘর্ষে জড়ান ভক্তরা। তাদের সংঘর্ষে নিহত হন চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী মো. সাইফুল ইসলাম আলিফ। তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।