জাতীয় সংবাদ

মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রবাহ রিপোর্ট : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত হয় তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আমরা ৮৪ জনকে অ্যাটাচ করে রেখেছি। ০-৪০ জনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। কোনো রকম দুর্নীতি পেলে আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়িতে পাঠাতে দ্বিধা করবো না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনারা সব সময় বলেন জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এ জন্য এটা অনলাইনে করতে পারবেন। ইতোমধ্যে আমরা সিলেটে শুরু করেছি। এটা পুরো দেশে শুরু করবো। পাসপোর্টে এখন আর ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়ে না। এ রকম জিডি এবং মামলা করতে আপনাদের থানায় আসতে হবে না। থানায় না এসে অনলাইনেই আপনারা মামলা ও জিডি করতে পারবেন। মামলা বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য অনলাইন করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চলছে। এটা যদি কোনোভাবে কন্ট্রোলে আনতে পারতাম, তাহলে দেশটা কিন্তু অনেক এগিয়ে যেতো। আপনারা মানুষদের সচেতন করবেন যাতে দুর্নীতি না করে। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যা মামলার আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে সময় লাগছে। জুলাই ও আগস্টের হত্যা মামলাগুলোর বাদী জনগণ। আগে ১৫-২০ জনের নাম দিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিতো। এখন তাদের দেওয়া মামলার আসামি অনেক বেশি। এসব মামলায় অনেক নির্দোষ ব্যক্তি রয়েছে। এজন্য কে দোষী আর কে নির্দোষ, তা বের করে দোষীদের শাস্তি ও নির্দোষ ব্যক্তি যেন হয়রানি না হয় সেজন্য তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে দেরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁচের মতো ঘর করে দেওয়া হবে। আপনারা দেখতে পারবেন যে তার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কিনা। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কী? আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে বা থাকতে পারে। এজন্য আমরা দেখবো। যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। যারা নির্দোষ সে যাতে কোনোমতে সাজা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button