প্রধান উপদেষ্টা-তারেক বৈঠক নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো জামায়াত

নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে শঙ্কা
প্রবাহ রিপোর্ট : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল শনিবার সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে এ অবস্থান জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিবৃতিতে বলা হয়, লন্ডনে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে যৌথ প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে, তা নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এতে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশের মাটিতে যৌথ ব্রিফিং এবং যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয়। এর মাধ্যমে তিনি নিরপেক্ষতার বদলে একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন বলে আমরা মনে করি।’ জামায়াত মনে করে, দেশে ফিরে এসে সব দলের সঙ্গে আলোচনার পর তার অবস্থান ব্যাখ্যা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হতো। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার এমন আচরণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না, সে বিষয়ে জনগণের মনে সন্দেহ ও আশঙ্কা তৈরি করেছে। এ প্রসঙ্গে ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশি মিশনের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের বৈঠকের কথা তুলে ধরে বলা হয়, ‘সেদিন সাংবাদিকদের সামনে আমাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরা হলেও কোনো যৌথ বিবৃতি বা প্রেস ব্রিফিং দেওয়া হয়নি, যা একটি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক আচরণ ছিল।’ জামায়াত মনে করে, যেহেতু বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল সক্রিয়, তাই কেবল একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে এবং সংস্কার ও বিচারব্যবস্থার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’ বিবৃতিতে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে পরিষ্কার ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যার দাবি জানায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।