জাতীয় সংবাদ

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে অচল ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ ফ্রন্ট : স্বীকার হিব্রু মিডিয়ার

# বাস্তুচ্যুত ১২ হাজার সেটেলারের দিন কাটছে হোটেলে #

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ হিব্রু ভাষার একটি সংবাদপত্র প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে, সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘর্ষের সময় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইহুদিবাদী সরকারের অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টকে অচল এবং প্রতিরক্ষাহীন করে তুলেছে। বসতি রক্ষা বা ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনরুদ্ধারে তেল আবিবের অক্ষমতা প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। ইসরায়েল হায়োমের একটি প্রতিবেদন মতে, ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অধিকৃত ফিলিস্তিন জুড়ে লাখ লাখ আবাসিক ইউনিট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবহেলিত রয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যমটি স্বীকার করেছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ইসরায়েলি সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে। কেবল পূর্ব প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, হামলা-পরবর্তী সংকট ব্যবস্থাপনায়ও ব্যর্থতা দেখিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের পরে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা পূর্বের ত্রুটিগুলিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির জন্য যা আরও গভীর সংকট তৈরি করেছে। নিবন্ধটিতে আরও প্রকাশ করা হয়, ১২ দিনের যুদ্ধে বাত ইয়ামের অন্তত ১৭টি বড় ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। একইভাবে, রেহোভোটে ১৩টি এবং রামাত গানে ৮টি ভবন ধসে পড়েছে এবং অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
বাত ইয়ামের মেয়র জভিকা ব্রট পুনর্গঠনের সময়সীমা নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। ‘‘ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে’’ ইসরায়েল হায়োমকে বলেন তিনি। জভিকা বলেন, সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতিতেও পুনর্র্নিমাণে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে। এর জন্য পৌর ও রাজ্য সংস্থাগুলির পূর্ণাঙ্গ তৎপরতা এবং এমনকি বিদ্যমান আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। তিনি আরও বলেন, কমপক্ষে ১২০ দুনাম জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৭৫টি প্রধান ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং এসবের পুনর্গঠন প্রয়োজন। ইসরায়েল হায়োম আরও জানিয়েছেন, ১২ হাজারের অধিক ইহুদি সেটেলারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং তাদের ৯০টি হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সরকারি হতাহতের পরিসংখ্যানে নিহত ২৯ জন এবং আহত হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি। ক্ষতিপূরণ দাবি করে আবেদন জমা পড়েছে ৩৮ হাজার ৭০০টিরও বেশি। এতে আনুমানিক সম্পত্তির ক্ষতি দেখানো হয়েছে ৭ বিলিয়ন শেকেলেরও বেশি। এই পরিসংখ্যানে নিরাপত্তা-সম্পর্কিত ব্যয় বাদ দেওয়া হয়েছে। কেবল নিরাপত্তা-সম্পর্কিত ব্যয় ৪০ বিলিয়ন শেকেলের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে আরও স্বীকার করা হয়েছে, শাসকগোষ্ঠীর সামরিক সেন্সরশিপের কারণে প্রতিবেদনে কেবল বেসামরিক এলাকাগুলির চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এতে ইঙ্গিত দেয়, ধ্বংসের প্রকৃত মাত্রা ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা হয়েছে। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button