৫ ঘণ্টার অবরোধ শেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বনানীতে সড়ক ছাড়ল সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা

# বিআরটিএ ঘেরাও #
প্রবাহ রিপোর্ট : রাজধানীর বনানী এলাকায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে স্থবির হয়ে থাকা সড়ক যোগাযোগ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবরোধে মহাখালী রুটের যান চলাচল দুপুর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকেই তারা বিআরটিএ সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত চালকরা এই অবরোধে অংশ নেন। তাদের প্রধান দাবি ছিল, ঢাকা জেলার অন্তর্গত সব সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে মহানগর এলাকায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে এবং এ কারণে কোনো ধরনের মামলা দিতে পারবে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। অবরোধের কারণে মহাখালী-বনানী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনরত চালকরা বিআরটিএ ভবন ঘেরাও করে রাখেন এবং ভেতরে কাউকে ঢ়ুকতে বা বাইরে বের হতে দিচ্ছিলেন না।পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যস্থতায় সিএনজিচালকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহাখালী রুটে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা বনানী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেছিলেন, যার ফলে পুরো রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা মহানগর এলাকায় মেট্রোর রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় তিন হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। তবে জেলা পর্যায়ের অনেক সিএনজির চালক রাজধানীতে ঢ়ুকে যাত্রী পরিবহন করতে চান, যাতে নিয়ন্ত্রণে বিঘœ ঘটতে পারে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।