জাতীয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘোষণার দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

প্রবাহ রিপোর্ট : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভেঙে দিয়ে আপনি প্রধান হয়ে তত্ত্বাবধয়ক সরকার ঘোষণা করেন। আপনি কিছু বিপ্লবী সিদ্ধান্ত নেন। আপনি বলেন, যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের ওয়াদা করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শরীফ ওসমান হাদি বলেন, আপনাকে প্রতিনিধিত্বশীল স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে। এটাতে যদি ১০ জনের মেম্বার হয়; দুই জন বিরোধী দল থেকে থাকবে, দুই জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক থাকবে, একজন শহীদ পরিবার থেকে থাকতে পারে, এই পুরো সরকার থেকে পাঁচ জন থাকবে, বাকি পাঁচ জন থাকবে অন্য স্টেক থেকে। যদি সেটা হয় তাহলে নূন্যতম তাকে কন্ট্রোল করা যাবে। তিনি বলেন, যে বাহাত্তরের সংবিধানের মধ্য দিয়ে বাকশাল হয়েছে, বিচারিক হত্যাকা- হয়েছে; সেই সংবিধানকে নতুন সংসদে বাতিল করে, জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের আলোকে এবং জুলাই সনদের আলোকে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে। ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র বলেন, জুলাই সনদে সাত চল্লিশকে বাদ দিয়ে, এই অঞ্চলের দুইশ’ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামকে বাদ দিয়ে মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদের বয়ান রাখা হয়েছে। শাহবাগের জঘন্যতম মত দিয়ে এই বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে আমাদের দেশে বিচারিক হত্যাকা-কে সব থেকে বড় বৈধতা দেওয়া হয়। সাতচল্লিশ, একাত্তর আর চব্বিশকে মুখোমুখি দাঁড় করানো বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাতচল্লিশের ধারাবাহিকতা একাত্তর আর একাত্তরের চূড়ান্ত ধারাবাহিকতা আমাদের ২০২৪। সুতরাং সাতচল্লিশ, একাত্তর আর চব্বিশকে একটার বিপরীতে আরেকটা দাঁড় করানোর চেষ্টা বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। জুলাই ঘোষণাপত্রে পিলখানা হত্যাকা-, শাপলা গণহত্যার কথা উল্লেখ না করার সমালোচনা করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি বললেন ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের কথা। আপনি বললেন নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের কথা। কিন্তু আপনি পিলখানা হত্যাকা-, শাপলা গণহত্যার কথা বলেন না। আপনি এতটুকু ঠিক, কোন রাজনীতির কারণে বাদ দিলেন? এসব বাদ দিয়ে আপনি কোন ফ্যাসিস্ট আবার আনতে চান? আপনাদের এত হীনমন্যতা কিসের? শাপলাই হীনমন্যতা, পিলখানায় হীনমন্যতা; তাহলে তাদের রক্তের বিনিময়ে যে সরকারে আছেন, সেখানে থাকতে আপনাদের লজ্জা করে না?

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button