জাতীয় সংবাদ

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে : ইসি

প্রবাহ রিপোর্ট : ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার নবম কমিশন সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য চিঠি দিয়েছেন। আজকের মিটিংয়ে সেটাই উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে আমাদের বলেছেন, ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই হিসেবে আপনারা ধরেই নিতে পারেন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হবে এমনটা বলা যাবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, না। এদিকে, মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা আইনে সামান্য সংশোধন করেছিলাম। এজন্য বছরের মাঝামাঝিতে ভোটার করে নিতে পারব। এতে ১৮ থেকে ২০ লাখের তরুণ ভোটার যোগ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের কাছে সিম্বল ব্যালট (প্রতীক সম্বলিত) যাবে। যাতে সময় কম লাগে। প্রার্থী চূড়ান্ত দেওয়ার পরে সিম্বল ব্যালটে ভোট দেবেন। ইসিতে এসে পোস্ট অফিস ব্যালট নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন করে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর তারা অনলাইনে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পারবেন। সেই অনুযায়ী তারা পছন্দের প্রার্থী দেখে ব্যালটে থাকা সেই প্রার্থীর সিম্বলে ভোট দেবেন। প্রবাসীদের ব্যালটে শুধু প্রতীক রাখার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে কাছের দেশেও ব্যালট পেপারে পাঠাতে সময় লাগবে ১৮ দিন। দূরের দেশগুলোতে ২৮ দিন। তাই প্রার্থীর নামসহ ব্যালট পাঠাতে হলে যে সময়ের প্রয়োজন হবে তা প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থাকবে না। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে চাই। মাধ্যমটা হবে পোস্টাল ব্যালট। অতীতে এই বিধান থাকলে সময়ের কার্যকর করা যেত না। এবার তিনভাবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট হবে। যারা প্রবাসে থাকেন, কারাগারে থাকেন ও ভোটের দায়িত্বে থাকেন। তাদের জন্য এই ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য আগেই নিবন্ধন করতে হবে। পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর থেকে প্রচার ও ভোটারশিক্ষণের কাজ চলবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে প্রার্থী পরিবর্তন হলে আদালতের আদেশে তবে সেখানে পোস্টাল ব্যালট হবে না। তবে আইনি কার্যক্রম যেন দ্রুত হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আবুল ফজল জানান, এটা ব্যয় সাপেক্ষ প্রসেস। আনা-নেওয়া করতে ব্যালট প্রতি ৫০০ টাকা থাকবে। এরপর ছাপানোর খরচও আছে। আবার নিবন্ধন কার্যক্রমের জন্য ৪৮ টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে। প্রতি এক লাখ ভেটারের জন্য সবমিলিয়ে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button