রাজবাড়ীতে পার্কে বেড়াতে যাওয়া দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : গ্রেপ্তার ৩

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পার্কে বেড়াতে আসা দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ধর্ষণ মামলার পর গতকাল শুক্রবার ভোরে থানা পুলিশ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পূর্ব বিল মামুদপুর গ্রামের শেখ ফারুকের ছেলে ফয়সাল শেখ (২২), গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙী গ্রামের চাঁন মিয়া মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা (২১) ও পূর্ব উজানচর গনি শেখের পাড়ার কালিম উদ্দিনের ছেলে সজিব মোল্লা (২৪)। গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রিয়াজউদ্দিন পাড়ার একটি ধইঞ্চা ক্ষেতের পাশে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক প্রেসনোটের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী (২০) তার প্রতিবেশী এক চাচাতো বোনকে (১৫) নিয়ে গোয়ালন্দের উজানচর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গোধুলী পার্ক এলাকায় বেড়াতে যান। এ সময় সোহান নামের এক পরিচিত যুবক গোয়ালন্দ থেক তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। সূত্র মতে, পার্কে তিন জন প্রবেশের কিছুক্ষণের মধ্যে মামলায় গ্রেপ্তার ১ নম্বর আসামি পার্কে প্রবেশ করে এবং অন্য আসামিরা আশপাশে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসামিরা ভুক্তভোগী ও সোহানকে পার্কের পুকুরপাড়ের ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে। এরপর দুই তরুণী পার্ক থেকে বেরিয়ে অটোরিকশাযোগে ফরিদপুরের দিকে রওনা দিলে পথিমধ্যে তারা পুনরায় পথরোধ করে রাস্তার নিচে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিষয়ে কলেজ পড়ুয়া তরুণীর বাবা ও মামলার বাদী মোবাইল ফোনে বলেন, মামলার ১নং আসামি ফয়সাল আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করতো। বিয়ের প্রস্তাব দিলেও আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। এরপর হতে সে আমার মেয়ের চরম সর্বনাশ করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। আমি এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি দাবি করছি। এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো গুরুতর এই অপরাধের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।