জাতীয় সংবাদ

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২

প্রবাহ রিপোর্ট : গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শনিবার ভোরে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চর মসলন্দ (মোড়লপাড়া) গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাহেরুল হক চৌহান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে ফয়সাল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর (অনন্তপুর) গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহ জালাল (৩২)। গ্রেপ্তারকৃতরা গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার (চান্না) এলাকার মাহাবুব স্কুল মোড় এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তারা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর তুরাগ এবং গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোবারকের ছেলে মামলার প্রধান আসামি মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, স্বাধীন, আল-আমিন এবং সুমন। তাদের মধ্যে মিজান ওরফে কেটু মিজান মহানগরীর বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার মঞ্জু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গ্রেপ্তারকৃতরা ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে মহানগরীর চান্দানা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তুহিন গাজীপুর মহানগরীর পালের মাঠ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার দুই ছেলে তৌকির হোসেন তৈকি (৫) ও আবদুল্লাহ আল ফাহিম (৩)। তুহিন সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির গাজীপুরের ডিলার ছিলেন। এই হত্যাকা-ের ঘটনায় গত শুক্রবার সকালে নিহত সাংবাদিকের বড় ভাই সেলিম অজ্ঞাতদের আসামি করে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেন। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। দ্রুত বিচারের দাবি উঠেছে সর্বস্তর থেকে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button