ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন : সিইসি

প্রবাহ রিপোর্ট : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গতকাল শনিবার বিকালে রংপুর উত্তম এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাব বলেন।
এর আগে সকালে রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যে বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে। তারপরও আমি বলবো, গত বছরের জুলাই-আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ঘুমাতে পারছি। আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা ঘুমাতে পারছেন না, তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইলেকশন আসতে আসতে আরও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে নিয়ে আমরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই, মানুষ যাতে নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।
নির্বাচনি সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তাই মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন কাঠামো, এই খাতে ব্যাপক জনবল সবকিছুই গুছিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে কমিশন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনসংশ্লিষ্টরা আগামী নির্বাচনে কারও পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। দেশের ১৮ কোটি মানুষের হয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই কাজ করবে। এ সময় গত নির্বাচনে যেসব প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণে সমস্যা তৈরি করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি ইমানি দায়িত্বও বটে। এ ছাড়া এআই-এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, এসব বিভ্রান্তি মোকাবিলা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হবে তবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সরাসরি সম্প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভাগের প্রত্যেকটি জেলার নির্বাচনি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।