তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, নিচু এলাকা প্লাবিতসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জানুয়ারি মাসের ডায়েরি জুলাই মাসে ছাপেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদৌস। এতে ৫০ লাখের বেশি টাকার দুর্নীতি করেন সাজাপ্রাপ্ত সহকারী এক প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করে দেড় লাখ টাকার তেল চুরির অভিযোগ এনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সাইফুল ইসলাম। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কলেজ শাখায় নিজের আত্মীয়ের নামে বাস সার্ভিস চালু রাখা এবং প্রতিষ্ঠানের রঙ করার কাজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদৌস।

প্রবাহ রিপোর্ট : উজানের পাহাড়ি ঢলে ও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি ডিমলা ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গতকাল বুধবার সকাল ৬টা বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় তা কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পয়েন্টে পাউবোর গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। আবার সকাল ৯টার দিকে ওই পানি ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) জানান, গত মঙ্গলবার সারারাতের বৃষ্টিপাতের ফলে গতকাল বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে তিস্তা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। এতে চর গ্রামসহ নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, এলাকার লোকজন বন্যা আতঙ্কে দিন যাপন করছেন। এ ছাড়াও নি¤œাঞ্চল ও বিস্তীর্ণ এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেকোনো সময় লোকালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর সকাল ৯টায় ২ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজে ৪৪টি জলকপাট (স্লুইচ গেট) খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।