জাতীয় সংবাদ

স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী

প্রবাহ রিপোর্ট : কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীর রায়গঞ্জে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সব আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগেশ^রী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর চাচা আবু তালেব ব্যাপারী। এ সময় কিশোরীর বাবাসহ অন্য স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিশোরীকে মেলায় ডেকে চেতনাশক খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাব্বী মিয়া, জুলহাস মিয়া, শফিয়ার রহমান ও ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া। মামলার ৪দিন হলেও পুলিশের তেমন তৎপরতা নেই। আসামী রাব্বীকে পরিবার থানায় দিলে তাকে কোর্টে পাঠায় পুলিশ। সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবী জানান স্বজনরা। স্বজনরা বলেন, একজন ইউপি মেম্বার ধর্ষনের সাথে জড়িত। তারপরও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা নানাভাবে শুনছি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ন্যায় বিচার না পাওয়ার শঙ্কা করছি। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া এলাকার ওই কিশোরীকে গত ২৩ জুলাই নাগেশ^রী ডিএম একাডেমী ফুটবল মাঠে হস্ত, বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলায় ডেকে এনে ঘোরাঘুরির পর গাগলা খামারটারীর ফাঁকা বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ করে তার জেঠাতো বোনের স্বামী রাব্বী মিয়া। তাকে চেতনাশক খাওয়ালে অচেতন হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাগেশ^রী থেকে ঢাকার বাসে তুলে দেয় রাব্বী। তাকে অচেতন দেখে ঢাকায় বোনের বাসায় নেয় বাসের সুপারভাইজার। রাতে ফিরতি বাসে নাগেশ^রী পাঠান তিনি। পরদিন সকালে নাগেশ^রীতে বাস থেকে নামলে রাব্বী আবারও তাকে পৌরসভার হাসেম বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওইদিন সন্ধ্যায় নাগেশ^রী বাসস্ট্যান্ড নিয়ে এসে জুলহাস নামে একজনের হাতে তুলে দিলে অটোরিক্সায় রায়গঞ্জ বোর্ডের বাজারের পাশে এক বাড়িতে কিশোরীকে নিয়ে শফিয়ার রহামান ওরফে শফি কন্ট্রাক্টার ও মোতালেব মেম্বার রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোরে বাড়ি থেকে বের করে দিলে নানার বাড়িতে যায় কিশোরী। পাঁচদিন বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে বেশি অসুস্থ হলে নাগেশ^রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। এ ঘটনায় উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গাগলা খামারটারী এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাব্বী মিয়া, নাগেশ^রী পৌরসভার বাঁশেরতল এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জুলহাস মিয়া, রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সাপখাওয়া এলাকার মৃত বাদর উদ্দিন ওরফে ঢোলার ছেলে শফিয়ার রহমান ওরফে শফি কন্ট্রাক্টর এবং রায়গঞ্জ ইউনিয়নের গাটিরখামার এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ও ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মোতালেব হোসেনকে আসামী করে মামলা করেন কিশোরীর পিতা। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগেশ^রী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টা চলছে। নাগেশ^রী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, মামলার প্রধান আসামী রাব্বি জেলে আছে। কোন আসামী ছাড় পাবে না। পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button