জাতীয় সংবাদ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রাধান্য পাবে
তফসিল চলতি বছরের ডিসেম্বরে
নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে

প্রবাহ রিপোর্ট : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এ রোডম্যাপ ঘোষণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে আছে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করা। ইসি আগেই জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে। আর তফসিল ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।
কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ যত বিষয়: অংশীজনের সংলাপ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনী আইনবিধি সংস্কার, দল নিবন্ধন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, পোস্টাল ভোটিং, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, দেশি–বিদেশি সাংবাদিক অনুমোদন; নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কার্যক্রম, অন্যান্য আইনবিধি সংস্কার একীভূতকরণ; ম্যানুয়েল নির্দেশিকা পোস্টার পরিচয়পত্র মুদ্রণ; প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ, প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ, টেলিযোগাযোগব্যবস্থা সুসংহতকরণ, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার, ফলাফল প্রদর্শন, প্রকাশ ও প্রচার (বিভিন্ন মাধ্যমে); বিবিধ।
দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ: সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু। শেষ হতে সময় লাগবে দেড় মাস।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ: ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা চূড়ান্ত করা হবে ৩১ আগস্ট। আর ৩১ অক্টোবরের সম্পূরক তালিকা শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর।
নির্বাচনী আইনবিধি: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), অন্যান্য আইনবিধি ৩১ আগস্টের মধ্যে সংশোধনের প্রস্তাব ও প্রণয়ন। এ ছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত, দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নীতিমালা চূড়ান্ত, নির্বাচন পরিচালনা (সংশোধন) ২০২৫ প্রতীকসহ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯—এগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন, যা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশা।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন : মধ্য সেপ্টেম্বর প্রাথমিক নিবন্ধন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন।
সীমানা নির্ধারণ : সেপ্টেম্বরের শুরুতে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ আর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত ও প্রকাশ।
পোস্টাল ভোটিং ও ব্যালট : প্রকল্প অনুমোদন, সফটওয়্যার চূড়ান্ত, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, নিবন্ধন ও ট্র্যাকিং মডিউল, প্রচারণা অক্টোবরে সম্পন্ন। প্রবাসে নভেম্বরে ব্যালট পেপার পাঠানো। কারাবন্দীদের ভোটের দুই সপ্তাহ আগে পাঠানোর পরিকল্পনা।
আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কার্যক্রম: সেপ্টেম্বরে ও তফসিল ঘোষণার ১৫ দিন এবং তফসিল ঘোষণার পরও বৈঠক।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ–সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেবে ইসি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button