জাতীয় সংবাদ

মেঘনায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নৌ-ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রবাহ রিপোর্ট : মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ‘নয়ন পিয়াস বাহিনী’র অন্যতম সহযোগী ও মেঘনার শীর্ষ নৌ- ডাকাত আবুল কালামকে (৪১) অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব- ১১। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক, চাঁদাবাজিসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব- ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। র‌্যাব জানায়, গত ২৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশ সদস্যরা গজারিয়া উপজেলার জামালপুরের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছামাত্র ও আবুল কালামের নেতৃত্বে নয়ন- পিয়াস বাহিনীর ৪০- ৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪- ৫টি হাইস্পিড ট্রলারে ক্যাম্পের কাছাকাছি জায়গায় এসে তাদের ওপর ককটেল ও গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাতরা দ্রুত সরে যায়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদী ও শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল, নৌযানে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছিল নয়ন, পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনী। গত একবছরে তাদের গুলিতে কয়েকজন নিহত এবং ভয়ে শতাধিক পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। ২৫ আগস্টের ঘটনার পর র‌্যাব- ১১ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার হেফাজত থেকে একটি পাইপগান, দুটি বুলেট, টাকা গণনার মেশিন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব জানায়, আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় তিনটি হত্যা, একটি ডাকাতি, চারটি বিস্ফোরক, একটি চাঁদাবাজি, তিনটি মাদক এবং ১৮টি অন্যান্য মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে। এর আগেও র‌্যাব- ১১ পৃথক তিনটি অভিযানে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button