স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অর্জিত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

প্রবাহ রিপোর্ট : স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের নামে থাকা সম্পত্তি ক্রোক করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান। সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতোয়ালি থানায় ২০২২ সালে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে উঠে এসেছে, শ্যাম ঘোষ একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার সূত্রাপুরে তার পিতার হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে প্রাপ্ত স্বর্ণ কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কেনাবেচা করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করেছেন। তদন্তে আরও জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান কিনেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ষষ্ঠ তলার সি ব্লকে তিনটি দোকান এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট। এছাড়া কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের পঞ্চম তলায় একটি ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং ৮/সি) এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিজ ও তার ভাই যৌথ মালিকানাধীন ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং এ-৬) রয়েছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ব্লক-বি, লেভেল-৫-এ ‘নন্দন জুয়েলার্স’ নামে স্বর্ণের দোকানো তাদের যৌথ মালিকানাধীন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পর ঢাকার সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ আদালত গত ২৫ সেপ্টেম্বর সম্পত্তির ওপর ক্রোকের আদেশ দেন। এরইমধ্যে ক্রোককৃত সম্পত্তি রক্ষণের জন্য ডিএমপির পুলিশ কমিশনারকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।