জাতীয় সংবাদ

গণচাপ গড়ে তুলতে ‘জাতীয় নাগরিক জোট’-এর আত্মপ্রকাশ

প্রবাহ রিপোর্ট : রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘জাতীয় নাগরিক জোট’ নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। জোটের লক্ষ্য ও কর্মসূচি সম্পর্কে নেতারা জানান, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন নিশ্চিত করতে গণচাপ গড়ে তুলবেন তারা। এ ছাড়া জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা ও সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করার দাবি জানাবে এই জোট। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জাতির সংকটে-জাতীয় নাগরিক জোট-এর আত্মপ্রকাশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতারা জানান, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী ১৪ মাসে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যাশা ছিল, তা ব্যাহত হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের অংশবিশেষ বিদেশি স্বার্থে নতজানু আচরণ করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এই পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক জোট’।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংস্কার প্রয়োজন। নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৪, দ-বিধির ৭৭ ধারা, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা সংস্কার বা বাতিল করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া তাদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ, দায়িত্বের জবাবদিহি ও নিরপেক্ষ আচরণের নীতিমালা ঘোষণা করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক জোট’-এর প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন- আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, আমজনতার দলের সিনিয়র সহসভাপতি কুলসুম সাধনা মহল, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান (রাজা), বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক মাহবুব আলম, স্নিগ্ধ বাংলাদেশের সদস্যসচিব সোনিয়া চৌধুরী, জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের আহ্বায়ক আল আমিন রাজু। এছাড়াও রয়েছেন জাতীয় সমাজ পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, জনতার অধিকার পার্টির (পিআরপি.) তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহম্মদ খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক মাহবুব হোসাইন, আগামীর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ আলম, বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ পরিষদের গিয়াস উদ্দিন খোকন, ড. কবির জুয়েল, আগামীর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও জুলাই যোদ্ধা শাহ আলম, ‘শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি’ মিম আক্তার, ডিএসএ ভিকটিম নেটওয়ার্কের সদস্য ইসরাত জাহান রেইলি, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি’ আব্দুর রউফ এবং মুঠোফোন গ্রাহক আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন আহমেদ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button