আওয়ামী লীগের বিচারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু

অভিযোগ প্রমাণ হলে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে
প্রবাহ রিপোর্ট : মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দল হিসেবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিচারের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরই মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেন চিফ প্রসিকিউটর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রক্রিয়া চলমান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ হয়েছে। খুব দ্রুতই তদন্তকাজ শেষ করবেন তারা। প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দল হিসেবে বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যাপারে আবেদন আগেরই ছিল। যেহেতু সব আবেদন একসঙ্গে নিষ্পত্তি করা সম্ভব ছিল না। তাই ক্রমান্বয়ে এসব করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়া আদালতে সাক্ষীদের দেওয়া বিভিন্ন জবানবন্দি এক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক দলিল হিসেবে কাজ করবে। সাক্ষ্যগুলো অন্যতম প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। এ সপ্তাহে বেশ কিছু ঘটনা ঘটবে বলা হয়েছিল সে সম্পর্কে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা বলেছি আরও বেশ কয়েকটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হবে। এ সপ্তাহের মধ্যেই হবে আশা করছি। দল হিসেবে সাজা প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, দলকে তো আর সাজা দেওয়া যাবে না। কিন্তু দলকে কী ধরনের সাজা দেওয়া যাবে সেটা আইনে বলা আছে। যেমন- দলকে নিষিদ্ধ করা বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সাজা দেওয়া বা তাদের নেতাকর্মীর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা ইস্যু করা। এসব আইনে রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারেই তদন্ত শুরু হয়েছে। যেসব দল জড়িত ছিল তাদের ব্যাপারেও যদি তদন্ত হওয়া দরকার, তাহলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে তদন্ত সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এতে বলা হয়, গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটকেও দায়ী করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্তের পরই নেওয়া হবে বিচারের ব্যবস্থা।