৫% হিসাবে ৫৬% শিক্ষক পাবেন ১২ শতাংশের বেশি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রবাহ রিপোর্ট : ‘শতকরা ভিত্তিক বাড়িভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব – ২০২৫’ তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫ শতাংশ হিসেবে ৫৬ শতাংশ শিক্ষক- কর্মচারী ১২ শতাংশের বেশি পাবেন। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বাড়িভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। যেটি বেশি হবে সেটিই কার্যকর হবে। এই কাঠামো অনুযায়ী প্রায় ৮৯ শতাংশ শিক্ষক- কর্মচারী ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বা তার বেশি পাচ্ছেন। প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষক- কর্মচারী ৯ শতাংশা বা তার বেশি পাচ্ছেন এবং প্রায় ৫৬ শতাংশ শিক্ষক- কর্মচারী ১২ শতাংশ বা তার বেশি পাচ্ছেন। এই প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত, যা তাদের নির্ধারিত অর্থনৈতিক পরিসীমার মধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই কাঠামো তৈরি করেনি, তবে আমরা সব সময়ই শিক্ষক সমাজের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তাব তুলে ধরেছি এবং তা অব্যাহত রাখবো। আমরা জানি, শিক্ষক সমাজ এর চেয়ে অধিক প্রাপ্য। আমরাও চাই শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান ও সুবিধা আরও বাড়ুক। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বর্তমান বাস্তবতার মধ্যে এটি একটি প্রথম ধাপ, এবং আমরা আশা করি শিক্ষক সমাজ শ্রেণিকক্ষে ফিরে এসে শিক্ষার্থীদের শেখার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন, যাতে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও ন্যায্য সমাধান বাস্তবায়ন করা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সময় শিক্ষক সমাজের পাশে থাকবে এবং তাদের ন্যায্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, এক হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন শুরু করেন গত ১২ অক্টোবর। পরে পুলিশি নির্যাতনের পর লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একইসঙ্গে সারাদেশের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি গত শুক্রবার থেকে অনশন কর্মসূচিও শুরু করেন শিক্ষকরা। এছাড়া দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় গত ১৩ অক্টোবর থেকই কর্মবিরতি পালন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া নির্ধারণ করে একটি চিঠি দেয় অর্থ বিভাগ। এই চিঠি প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি আন্দোলন-কর্মসূচিও অব্যাহত রাখেন। শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি, অনশন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি। এরই মধ্যে শহীদ মিনার থেকে থালা-বাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করে শিক্ষা ভবনে রওনা দিয়েছেন শিক্ষকরা। সেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আবার শহীদ মিনারে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।