অবসরপ্রাপ্ত মেজর মাসুদসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রবাহ রিপোর্ট : ্র্নুীতির অভিযোগ থাকায় মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ ও অবসরপ্রাপ্ত ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পৃথক ৫ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা রহমান খান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. শহীদ, মোহাম্মদ জাহিদ, মোহাম্মদ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ও তার স্ত্রী জহুরা আহম্মদ শুভ। আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেন জেনসন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান চলমান আছে। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের ২০ জুন মাসুদ পাসপোর্ট গ্রহণ করেন এবং অবৈধভাবে অর্থসহ আত্মগোপন করেন। বিভিন্ন বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আসামি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে বিঘœ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক। হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন। অন্য আবেদনেও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা যেকোনও সময় দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।