জাতীয় সংবাদ

অম্লীল ভিডিও তৈরির সঙ্গে জড়িত দম্পতি সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার

অন্যদেরও পর্ণজগতে যুক্ত করতে কাজ করছিল তারা

প্রবাহ রিপোর্ট : দেশে অবস্থান করেই আন্তর্জাতিক পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম শীর্ষস্থানে থাকা সেই আলোচিত যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তাররা হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। গতকাল সোমবার ভোরে বান্দরবান জেলার হাজিপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটির এলআইসি এবং সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল, সিমকার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ পর্ণ ভিডিও তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। বিকেলে সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জসীম উদ্দিন খান।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, শুধু নিজেরাই পর্ন ভিডিও তৈরি করা নয় বরং তরুণ-তরুণীদের এ জগতে সম্পৃক্ত করতে নানা ধরনের প্রলোভন দিয়ে আসছিল। অভিযানে তাদের কাছে একাধিক গ্রুপ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আজিম ও বৃষ্টি মাত্র এক বছরেই পর্নতারকাদের আন্তর্জাতিক পারফর্মার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিশ^ব্যাপী পারফর্মারদের মধ্যে তাদের অবস্থান অষ্টম। ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রথম অশ্লীল কন্টেন্ট প্রকাশ হয়। পরে এক বছরে তাদের প্রকাশিত মোট ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একাধিক আন্তর্জাতিক পর্ন ওয়েবসাইটে তারা ভিডিও আপলোড করতো। এভাবে খোলাখুলি প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেও তারা প্রচারণা চালাতো। এসব প্রচারণায় ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদেরকে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করতো তারা। আগ্রহীরা নতুন ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে নতুনদেরকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করাও ছিল তাদের কাজ। যেমন- টেলিগ্রাম চ্যানেলে নতুন ক্রিয়েটর অ্যাড করলে নগদ অর্থ দেওয়া হবে মর্মে তারা বিজ্ঞাপন দিতো।
সিআইডির মুখপাত্র বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ-ি পার হতে না পারা এ যুগল দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এলেও অনলাইনে রয়েছে তাদের বিলাসবহুল জীবনধারার ছবি ও ভিডিও। বিষয়টি সামাজিক ও নৈতিকভাবে উদ্বেগজনক এবং একইসঙ্গে বেআইনি হওয়ায় সিআইডির এলআইসি এবং সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট দ্রুততার সঙ্গে এই পর্ন-তারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করা হবে। তাদের কর্মকা-ের বিষয় আরও বিস্তারিত জানতে রিমান্ডে আনা হবে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানান এ কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button