জাতীয় সংবাদ

আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

এফএনএস: দিনাজপুরের হিলিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কমেছে দাম। দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আমদানিকারকরা। চলতি বছরের ৩০ আগস্ট থেকে ভারত হতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রোববারে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু থাকার কথা জানায় সরকার। সরেজমিনে গতকাল রোববার সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১০০ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা। হিলির বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এতে আমাদের কিনতে সমস্যা হয়। এত টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনলে আরও অন্যান্য বাজার কী দিয়ে করব। দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকার মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়। দেশের মোকামে কিছু কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দেয়। এতে করে আমাদের সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। তাহলে বাজারে কম দামে পেঁয়াজ আসবে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল হোসেন বলেন, কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজের বাজার বাড়তি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে করে আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি এবং কম দামে খুচরা বাজারে বিক্রিও করছি। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button