হাদিকে হত্যাচেষ্টায় আ.লীগ ও ভারতের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে: নাহিদ

প্রবাহ রিপোর্ট : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ভারতের সম্পৃক্ততাথাকতে পারে। গতকাল শনিবার দুপুরে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, দিল্লিতে বসে বাংলাদেশবিরোধী সব ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি (আওয়ামী লীগ)। ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছাড়া আওয়ামী লীগ এ ধরনের পরিকল্পনা করতে পারে না। তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগকে নানা সহায়তা করছে ভারত। আর আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মীরা নানা নামে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, শুধু আমাদের নেতা-নেত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেই হবে না, নেতাদের নিরাপত্তা দিয়ে জুলাই টিকে থাকবে না। সামগ্রিকভাবে সমাজ থেকে, রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রশ্নের সুরাহা করতে না পারলে, আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। নাহিদ বলেন, প্রশাসন, পুলিশ এবং মিডিয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় নানা ছদ্মবেশে আওয়ামী লীগ ফিরে আসছে। সরকারকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে কাজ করা জরুরি। আদালত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় থাকা সব ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলকে নিজ নিজ মতাদর্শী লোকজনকে একত্রিত করতে হবে। এই জায়গাগুলোতে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। পাশাপাশি, তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে এবং ভারতকে জবাবদিহির আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয়। এনসিপির আহ্বায়ক জানান, প্রধান উপদেষ্টা তিনটি দলের নেতাদের ডেকেছিলেন। সেখানে শরীফ ওসমান হাদির পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তার মা ছিলেন। আমরা মনে করি, হাদির ওপর হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনাও না। একটি মহল নির্বাচন ঘিরে এই ষড়যন্ত্র ছক আঁকছে। তিনি আরও বলেন, ফলে এই পরিবেশ এই ধরনের আমরা কীভাবে একত্রে মোকাবিলা করব এবং সেটার জন্য যেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন সেটা যাতে অটুট থাকে। আমরা জানি, নির্বাচনের রাজনীতিতে আমরা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তা করবো। একে অন্যের বিরুদ্ধে হয়তো বলবো। কিন্তু সেটা যাতে কখনই একটা সীমাকে অতিক্রম না করে। আওয়ামী লীগকে যাতে কোনও সুযোগ সুবিধা করে না দেয়, এই ব্যাপারে আমরা সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছি। নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে ভেরিফাই করা হচ্ছে, মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় টকশোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠে আসার একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, নরমালাইজিং প্রসেস আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখছি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা গোপন বৈঠকের সুযোগ পাচ্ছেন। আদালত পাড়ায় জয়বাংলা স্লোগান হচ্ছে। টকশোতে আওয়ামীপন্থি বুদ্ধিজীবীরা আসছে। ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। লীগকে রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পিত আয়োজন চলছে। তবে এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না।



