হাসিনার নির্দেশেই ছাত্রলীগের খুনিরা হাদিকে গুলি করেছে: দুলু

প্রবাহ রিপোর্ট : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী এবং নাটোর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই ছাত্রলীগের খুনিরা গুলি করেছে। হামলাকারী ঢাকার আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। এই হামলাকারীর ফেসবুক আইডিতে প্রেসিডেন্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নানকের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে শেখ হাসিনা ও পুরো আওয়ামী লীগ জড়িত। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে শহরের কানাইখালি পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে দুলু এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে নাটোর জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কানাইখালী এলাকায় নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আওয়ামী লীগ এই হামলার মাধ্যমে শুধু ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার চেষ্টা করেনি, পুরো দেশের মানুষকে ভয় দেখানোর অপচেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এজন্য আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। তিনি বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পরাজিত শক্তি বারবার দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার অপচেষ্টা করবে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, সদস্য শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, কাজী শাহ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার ও জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবু রায়হান ভুলু প্রমুখ। সমাবেশে দুলু সরকারকে অবিলম্বে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি বর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।



