জাতীয় সংবাদ

ফয়সালকে পালাতে সাহায্যের অভিযোগে গ্রেফতার উজ্জ্বল রিমান্ডে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা

প্রবাহ রিপোর্ট : ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বলকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদকে প্রাইভেটকারে পালাতে সহায়তার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর গতকাল বুধবার এ রিমান্ড আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানিতে বলেন, “ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে উজ্জ্বলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন ফয়সাল তার বোনের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় উজ্জ্বল প্রাইভেটকারের মাধ্যমে তাকে পালাতে সহায়তা করেন। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি এবং প্রধান আসামিও পলাতক রয়েছেন। তার অবস্থান নিশ্চিত নয়। রিমান্ডে নিলে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।” শুনানিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল ফয়সালকে মাইক্রোবাসে পালানোর সুযোগ করে দেন। অস্ত্র উদ্ধারের স্বার্থে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।” আসামিপক্ষে কোনও আইনজীবী না থাকায় আদালতের অনুমতি নিয়ে উজ্জ্বল নিজেই বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করি। হোয়াটসঅ্যাপে রেন্ট-এ-কারের কাজ করি। ফয়সালের সঙ্গে ৯ মাসের পরিচয় থাকলেও গত তিন মাস যোগাযোগ ছিল না। ঘটনার দিন হঠাৎ করে তিনি গাড়ি পাঠাতে বললে আমি পাঠাই। এটা আমার ব্যবসা। গাড়ি নিয়ে তিনি কী করবেন, তা আমি জানতাম না।” এ সময় বিচারক জশিতা ইসলাম আসামিকে বলেন, “রিমান্ড কোনও শাস্তি নয়। আপনি আইওকে সহযোগিতা করুন।” উল্লেখ্য, গতকাল কেরানীগঞ্জ থেকে ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা-মাসহ উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক আদালতে প্রধান অভিযুক্তের বাবা-মা জবানবন্দি দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা শরীফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button