চলতি মাসের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১ বিলিয়ন ৮২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

প্রবাহ রিপোর্ট : ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই প্রবাসী আয়ে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। চলতি মাসের ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১ বিলিয়ন ৮২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মুদ্রাবাজার এবং সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর-মাত্র দুই দিনেই দেশে এসেছে ১১৯ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স। মাসের অর্ধেক পেরোতেই এই অঙ্ক স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ডিসেম্বর শেষে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও শক্ত অবস্থানে যেতে পারে।
গতবছরের তুলনায় স্পষ্ট ব্যবধান : গতবছর ২০২৪ সালের ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ বিলিয়ন ৬০২ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে চলতি ডিসেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২২৪ মিলিয়ন ডলার, যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রণোদনা অব্যাহত থাকা, হুন্ডি দমন জোরদার হওয়া এবং বৈধ পথে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের আস্থা বাড়ায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে শক্ত গতি
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহে আরও স্পষ্ট ইতিবাচক চিত্র দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ বিলিয়ন ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, আগের অর্থবছরের একই সময়ে- অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২ বিলিয়ন ৭৪০ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাড়ে পাঁচ মাসেই প্রবাসী আয় বেড়েছে ২ বিলিয়ন ১২৪ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা : অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি ব্যয়, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ এবং রিজার্ভের ওপর চাপের মধ্যে রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধি সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বড় স্বস্তির খবর। বিশেষ করে রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগে অনিশ্চয়তার সময়ে প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভরসা হিসেবে কাজ করছে। তারা মনে করেন, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই সঙ্গে ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরুদ্ধারেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।



