জাতীয় সংবাদ

ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি ইসির

প্রবাহ রিপোর্ট : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সিসি ক্যামেরা সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা নেই, সেখানে অন্তত ভোটের দিনের জন্য ক্যামেরা সংযোগ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগেই ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারের চলাচলের উপযোগী করে প্রস্তুত করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী অবকাঠামোর সংস্কার করতে হবে এবং যেসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে থাকা সিসিটিভি সংযোগ যেন সচল থাকে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, শুরুতে অতিরিক্ত ব্যয়ের আশঙ্কায় সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে কমিশন পুরোপুরি আগ্রহী ছিল না। তবে মাঠপর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলো সচল রাখা গেলে বাড়তি ব্যয় খুব বেশি হবে না। আর যেসব কেন্দ্রে ক্যামেরা নেই, সেখানে কেবল ভোটের দিনের জন্য অস্থায়ীভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এবারের নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব কেন্দ্র ভোটারের চলাচল উপযোগী করতে হবে এবং প্রয়োজনে অবকাঠামো সংস্কার করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি আছে, সেগুলো সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারে সিসিটিভি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যেসব কেন্দ্রে সিসিটিভি নেই, সেখানে পরিচালনা পর্ষদ বা কর্তৃপক্ষকে ভোটের দিনের জন্য ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ করা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিকল্পনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে কাজ করবে। নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত কেন্দ্রগুলোতে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button