হাদির পক্ষে কথা বলায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপত্র নিহত শরিফ ওসমান হাদির পক্ষে কথা বলায় এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের পূর্ব গরঙ্গল গ্রামে। আহত উপজেলা যুবদলের সদস্য ও পূর্ব গরঙ্গল গ্রামের আব্দুল হক প্যাদার ছেলে বেল্লাল হোসেন প্যাদাকে গুরুত্বর অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত শনিবার আহত যুবদল নেতার বড় ভাই কামরুল ইসলাম প্যাদা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নামোল্লেখসহ আরো পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গত শনিবার রাতে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। আহত যুবদল নেতার বরাত দিয়ে তার বড় ভাই মামলার বাদি কামরুল ইসলাম প্যাদা বলেন-তার ভাই বেল্লাল হোসেন প্যাদা স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আড্ডা দিচ্ছিলো। ওই সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপত্র ওসমান হাদির সমর্থনে কথা বলছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম তার সহদর যুবলীগ কর্মী বাদশা খান, তরিকুল খানসহ তাদের ১০-১২ জন সহযোগীরা বেল্লালের কথার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। আহত যুবদল নেতার বড় ভাই কামরুল ইসলাম প্যাদা অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম তার সহদর যুবলীগ কর্মী বাদশা খান, তরিকুল খানসহ তাদের অন্যান্য সহযোগিরা ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তার ছোট ভাই যুবদল নেতা বেল্লাল হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে (বেল্লাল) স্থানীয় গরঙ্গল দাখিল মাদ্রাসার কাছে ব্রিজের ওপর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বড জখম করে ফেলে যায়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত রফিকুল ও বাদশা খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছে।



