এখন থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: নির্বাচন কমিশনার

# নির্বাচন সামনে রেখে কড়া অবস্থান #
প্রবাহ রিপোর্ট ঃ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং এ বিষয়ে বার্তা স্পষ্ট। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযান ইতোমধ্যে চলমান রয়েছে এবং নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে তথ্য জানানো হবে। ব্রিফিংয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “অভিযান চলমান আছে। আমরা বলেছি, এটি নিয়মিতভাবে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে। প্রতিদিনই প্রায় দুই হাজার জন করে গ্রেপ্তার হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত, ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় বা সহিংসতায় লিপ্ত হতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্রিফিংয়ের আগে গতকাল রোববার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক পর্যালোচনা নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনী প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহেদও অংশ নেন। সেখানে নির্বাচনপূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধ এবং প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। এরও আগে একই দিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটি ছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “মেসেজ ক্লিয়ার। যারা দস্যুতা করতে চায়, যারা ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের প্রতি মানবিক হওয়া হবে না।” তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধ দমনে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে।



