পদত্যাগ করলে তো এখানে থাকতাম না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ নিজের পদত্যাগের খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদত্যাগ করলে তো এখানে থাকতাম না। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকা-ের মূল হোতার অবস্থান সম্পর্কে এখনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তার অবস্থান জানা থাকলে এতক্ষণে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। তবে এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা, মা, স্ত্রী, শ্যালক ও মোটরসাইকেল চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত দালালচক্রের সদস্যদের সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অগ্রগতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আরও বেশিহারে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত অভিযানে মোট ৬ হাজার ৯৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের জন্য গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং বাসভবনের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। যাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অনেককেই নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ জনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এলে তাকেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এদিকে, মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৮তম সভায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অগ্রগতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় জকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর আগে ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় একইভাবে জকসু নির্বাচনও নিরাপদ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া সভায় সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সহিংসতা ও উস্কানিমূলক সাইবার প্রচারণা প্রতিরোধ, চুরি-ছিনতাই ও চাঁদাবাজি দমন, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, মাদকবিরোধী অভিযান, শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতকরণ, শিল্পকারখানায় বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ, সীমান্ত ও পার্বত্য অঞ্চল এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।



