জাতীয় সংবাদ

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে প্রেরণ

প্রবাহ রিপোর্ট : সবগুলো আইনি ধাপ শেষে সুপ্রিম কোর্ট ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে পাঠানোর জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিক আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এ সময় শহীদ আইনজীবী আলিফের পিতা ও মামলার বাদী জামাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে অথবা ওই আদালত নির্ধারিত অন্য কোনো আদালতে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। আলিফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে নাম থাকা ৩৯ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন এখানো পলাতক। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরপর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। চার্জশিটে আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাস, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাস, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস ও দ্বীপ দাস। ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০২৫ সালের ১ জুন আলিফ হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সিএমপির কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ২৫ আগস্ট তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে সুকান্ত দত্তসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছিলেন আদালত। ৩১ জনকে আসামি করে মামলার এজাহার দায়ের করা হলেও এজাহারনামীয় গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজকাপুর মেথরের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে নতুন করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ আরও ১০ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করে মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button