খেলাধুলা

ফাইনাল দুই দলের জন্যই নতুন কিছু নয়: স্টার্ক

স্পোর্টস ডেস্ক : ‘অস্ট্রেলিয়ার জয় ছাড়া ওই ম্যাচের কিছুই মনে নেই আমার’- ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে ছোট্ট হাসিতে এই কথা বললেন মিচেল স্টার্ক। সেই সময়ের ১৩ বছর বয়সী একজনের জন্য ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচের কিছু মনে না থাকাই স্বাভাবিক। দুই দশক পর তিনি নিজেই এখন ভারতের বিপক্ষে আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অপেক্ষায়। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের কঠিন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও অবগত অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার চলতি বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে খেলা। স্টার্করা নামবেন ২০১৫ সালে জেতা ট্রফি পুনরুদ্ধারের অভিযানে। ভারতের লক্ষ্য ২০১১ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ক্রিকেটকে ঘিরে ভারতীয়দের উন্মাদনা সবসময়ই চোখে পড়ার মতো। চলতি আসরে অন্যান্য ম্যাচে গ্যালারি পরিপূর্ণ না হলেও, ভারতের যে কোনো ম্যাচে কানায় কানায় ভরেছে সবকটি মাঠ। অপ্রতিরোধ্য যাত্রায় এবার শেষ চ্যালেঞ্জে ঘরের মাঠে লক্ষাধিক আসনবিশিষ্ট স্টেডিয়ামে খেলবে রোহিত শার্মার দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাই মাঠের বাইরের বিষয়েও কঠিন পরীক্ষার সামনেই হয়তো পড়তে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে ফাইনালে নামার আগে এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন স্টার্ক। মাঠে ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জ কিংবা গ্যালারির দর্শকদের গগণবিদারী চিৎকার সামলে নিজেদের সেরা খেলা উপহার দেওয়ার সামর্থ্য দুই দলেরই আছে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালের বাধা পেরিয়ে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে ফাইনালের উত্তাপের কিছুটা গায়ে মাখান স্টার্ক। “এটি বড় উপলক্ষ! এটি বিশ্বকাপের ফাইনাল! দুই দলের ড্রেসিং রুমে থাকা ক্রিকেটাররা ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণে এমন ম্যাচ খেলেছে আগে। চলতি বছরেই (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে) দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। আমার মনে হয় না, দুই দলের কারও জন্য এমন বড় উপলক্ষ নতুন কিছু।” “অবশ্যই ভারতের মাঠে বিশ্বকাপ ফাইনাল অনেক বড় উৎসব হতে চলেছে। অনেক শব্দ হবে, অনেক আবেগ থাকবে। দুর্দান্ত একটা উপলক্ষ হবে। আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, দুই দলের জন্যই (ম্যাচে) ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় চাপ থাকবে। তো এটি দারুণ একটি ম্যাচ হতে চলেছে। আমাদের দল এই ম্যাচে নামার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।” টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি ভারত। প্রথম পর্বের পর সেমি-ফাইনালসহ টানা দশ ম্যাচ জিতেই শেষের পরীক্ষার টিকেট পেয়েছে স্বাগতিকরা। এই অভিযানে তাদের প্রথম জয় ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের দুইশর আগেই থামিয়ে সেদিন শুরুতে চাপে পড়েছিল ভারত। ভিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলের দারুণ ব্যাটিং পরে ম্যাচ জিতেছিল তারা। এবার স্বাগতিকদের বিপক্ষেই ফাইনাল খেলতে পারায় যেন তৃপ্তিটা একটু বেশি স্টার্কের। “এই কারণেই তো আমরা খেলি। আমরা সেরার বিপক্ষেই লড়তে চাই। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তারাই সেরা। আর এখন ফাইনালে আমরা মুখোমুখি হচ্ছি। এটিই তো বিশ্বকাপ! আপনি সব সময় সেরার বিপক্ষেই ভালো করতে চাইবেন। আমরা এখন এমন এক দলের বিপক্ষে লড়ব, যারা পুরো আসরে দারুণ খেলেছে এবং অপরাজিত রয়েছে। তাদের বিপক্ষেই আমরা প্রথম ম্যাচ খেলেছি। এখন শেষ ম্যাচেও তারাই প্রতিপক্ষ। তো হ্যাঁ, বিশ্বকাপ শেষ করার কী দারুণ একটা পরিস্থিতি!”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button