আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইমাদ
স্পোর্টস ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না ইমাদ ওয়াসিমকে। একরকম হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। ৩৪ বছর বয়সী ইমাদ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দল থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। দেশের হয়ে ৫৫ ওয়ানডে ও ৬৬ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন গত এপ্রিলে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে। সাবেক টুইটার বা এখনকার ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে ইমাদ লিখেছেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। “বেশ কিছুদিন ধরে আমি আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক ভেবেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার এখনই সঠিক সময়। এই বছরগুলোয় সবরকম সাহায্যের জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই-পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা সত্যিই অনেক বড় সম্মানের ছিল।” “ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১২১ ম্যাচের প্রত্যেকটি খেলতে পারা ছিল স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। নতুন নতুন কোচের কোচিংয়ে ও নেতৃত্বে পাকিস্তানের ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়াটা ছিল রোমাঞ্চকর। দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি এবং আগামীতে দলের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখার আশায় থাকব।” বিদায়বেলায় এতদিন সমর্থন দেওয়ার জন্য ভক্ত-সমর্থকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন ইমাদ। পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। জাতীয় দলকে বিদায় জানালেও এখনই অবশ্য ক্রিকেট ছাড়ছেন না ইমাদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি। ২০০৬ সালে যুব বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু ইমাদের। দুই বছর পর ওই টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসরে পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দেন তিনি। জাতীয় দলে অভিষেকের জন্য অবশ্য বেশ অপেক্ষা করতে হয় তাকে; ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলেন এবং ওই সময়ের বহিষ্কৃত সাইদ আজমলের শূন্যস্থান পূরণ করেন তিনি। ২০০৯ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার পর ছয় বছর পাকিস্তানে আন্তজার্তিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। সেই লম্বা বিরতি শেষে দেশের মাটিতে জাতীয় দলের ফেরার ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ইমাদের, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ওয়ানডেতে ৫৫ ম্যাচে ৪৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৯৮৬ রান করেছেন ইমাদ। আর ৬৬ টি-টোয়েন্টিতে তিনি ৬৫ উইকেট নিয়েছেন, রান করেছেন ৪৮৬। দুই সংস্করণেই তার সেরা বোলিং ১৪ রানে ৫ উইকেট।