এবার টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক : একই শহর ও একই মাঠে খেলা। এমনকি উইকেটও বদলাচ্ছে না। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি যেখানে হয়েছে, সেই ২২ গজেই হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সেই ওয়ানডেতে স্মরণীয় জয়ের আবেশ সঙ্গী করেই ২০ ওভারের লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। তাদের চাওয়া, এই ম্যাচের ফলও যেন অনুসরণ করে সেই ম্যাচকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বুধবার মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড ও বাংলাদেশ। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে। নিউ জিল্যান্ডে ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৯টি ম্যাচ ছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। সিরিজে তাই ফেভারিট হিসেবেই নামছে কিউইরা। তবে একই বাস্তবতা ছিল ওয়ানডেতেও। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে এই সফরের আগে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। এবার প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও শেষ ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ৯ উইকেটের স্মরণীয় এক জয়ের স্বাদ পান নাজমুল হোসেন শান্তরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে নেপিয়ারে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। “অবশ্যই মানসিকভাবে এটা সহায়তা করবে। ভালো একটি জয়ের পর সবসময় ভালো অনুভূতি থাকে এবং আবারও তা করার তাড়না থাকে। সংস্করণ যেটাই হোক, ওই জয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করতে আমাদের সহায়তা করবে।” টি-টোয়েন্টিতে এমনিতেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। এ বছর এই সংস্করণে ১১ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে তা ৯টিতেই। এর মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও টি-টোয়েন্টির দারুণ দল আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সাফল্যও আছে। এই জয়গুলোতে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব আল হাসান অবশ্য এই সফরে নেই। তবে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই বাংলাদেশ দলে। এই সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও শুরু করে দিতে চায় বাংলাদেশ। আগামী জুনে বিশ্বকাপ হবে যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বকাপের জন্য দলকে এখন থেকেই সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি করতে চান কোচ হাথুরুসিংহে। “পরিকল্পনা অনেকটাই নির্ভর করে কন্ডিশনের ওপর। তবে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে বিশ্বকাপেও। আমরা চেষ্টা করছি সেটির (বিশ্বকাপ) জন্য পরিকল্পনা ঠিকঠাক করতে। ১১টি ম্যাচ আছে আমাদের, সঙ্গে আছে বিপিএল। আমরা চেষ্টা করছি সমন্বয় ঠিক রাখতে এবং বিশ্বকাপে যে ক্রিকেটার যে ভূমিকা পালন করতে পারে, তা বুঝিয়ে দিতে।” “যেটি বললাম, বিশ্বকাপের আগে ১১টি ম্যাচ আছে আমাদের। এটা আদর্শ হোক বা না হোক, এই ম্যাচগুলিই আমাদের আছে। আমাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে করতে হবে, সবার ভূমিকা ঠিকঠাক করতে হবে।” ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও খর্বশক্তির দল নিয়ে নামবে নিউ জিল্যান্ড। বিশ্বকাপের কথা ভেবেই অবশ্য মূল ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছিল তারা। তবে চোটের কারণে ঝুঁকি না নিতে শেষ পর্যন্ত সিরিজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও পেসার কাইল জেমিসনকে। দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার। ডেভন কনওয়ে আছন বিশ্রামে। চোটের কারণে আগে থেকেই নেই ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, হেনরি শিপলিরা। তার পরও ম্যাচ জেতানোর মতো ক্রিকেটারের অভাব নেই তাদের। কন্ডিশন তাদের পক্ষে তো আছেই। সম্ভাবনায় তাই তারাই এগিয়ে অনেকটা। তবে শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশ জিতে যায়, বিস্ময়ের তেমন কিছু থাকবে না!