খেলাধুলা

বাংলাদেশকে বার্তা দিয়ে রাখলো নেপাল

স্পোর্টস ডেস্ক : নিউ ইয়র্কে ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমির মতো উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের একটিতেও তেমন রান হয়নি। দেশ বদলে নতুন ভেন্যু এলেও বদলায়নি প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ের চিত্র। সেন্ট ভিনসেন্টেও অল্পেই থামে তারা। শেষ পর্যন্ত বোলারদের নৈপুণ্যে মেলে ১ রানের জয়। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে রোমাঞ্চকর এই জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে অপরাজিত থেকেই সুপার এইটে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলের পারফরম্যান্সে তেমন সন্তুষ্ট হতে পারেননি এইডেন মার্করাম। এই ম্যাচ পর্যালোচনা করে শেখার অনেক কিছু পাওয়া যাবে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। আগে ব্যাট করে নেপালের স্পিন আক্রমণের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ। ৪৩ রান করতে ৪৯ বল খেলেন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। শেষ দিকে ট্রিস্টান স্টাবসের ১৮ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে কোনো ১১৫ রানে পৌঁছায় প্রোটিয়ারা। ছোট লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবেই জয়ের পথে এগোচ্ছিল নেপাল। একপর্যায়ে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ২১ বলে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। সেখান থেকে তালগোল পাকিয়ে ঐতিহাসিক এক জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে নেপাল। তাই ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে নেপালের প্রশংসা করতে ভোলেননি মার্করাম। “সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, নেপাল যেভাবে বোলিং করেছে, আমাদের কাজ খুবই কঠিন করে দিয়েছে। আমাদেরকে অনেক চাপে ফেলে দিয়েছিল। আর খুব সম্ভবত আমাদের পরিকল্পনায় নিজেদের সেই বিশ্বাসটা ছিল না।” তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারাকেও বড় করে দেখছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। “শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারা খুবই স্বস্তির। আমরা আজকে নিজেদের সেরা ক্রিকেটের ধারেকাছেও ছিলাম না। আগামী কয়েক দিনে এই ম্যাচ নিয়ে পর্যালোচনা করলে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার থাকবে।” “আমাদের পেস আক্রমণ দারুণ। আমরা তাদের সমর্থন করি। আমার মনে হয়েছিল, যদি সঠিক জায়গায় বল করা যায় তাহলে ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে মনের ভেতরে এই ভাবনাও ছিল যে, আমাদের আরেকজন স্পিনার নেওয়া উচিত ছিল। আগের তিন ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের ভিত গড়ে দেন পেসাররা। তবে নেপালের বিপক্ষে নায়ক বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাব্রেইজ শামসি। কেশাভ মহারাজের জায়গায় টুর্নামেন্টে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজের প্রথম ও শেষ ওভারে দুটি করে উইকেট নিয়ে তিনি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে স্বীকৃতি গ্রহণ করে শামসি বললেন, সামনের দিকে স্পিনারদেরই রাখতে হবে বড় অবদান। “অবশ্যই স্বস্তিদায়ক। প্রথম রাউন্ডে আমরা চার জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছিলাম। ক্যারিবিয়ানে আমরা যেখানেই যাই, আমার মতে বল টার্ন করবে। নিউ ইয়র্কে ফাস্ট বোলাররা দুর্দান্ত করেছে। তবে এখন স্পিনারদের দায়িত্ব নিতে হবে।”

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button