বাংলাদেশ এখন যা পাবে সবই বোনাস: হাথুরুসিংহে
স্পোর্টস ডেস্ক : বোলারদের কাঁধে চড়ে প্রথম রাউন্ডের বাধা পার করে সুপার এইটে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তানের কঠিন গ্রুপ থেকে সেরা চারে খেলার ব্যাপারে আগেভাগে কিছু বলতে চান না চান্দিকা হাথুরুসিংহে। বরং প্রাপ্তি যা কিছু হবে, বাড়তি পাওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই মাঠে পর দিন রাতে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। আর সুপার এইটের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে প্রথম রাউন্ডে তিন জয় পাওয়া বাংলাদেশ। কঠিন এই গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনাল খেলার কাজটা স্বাভাবিকভাবেই হবে বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাই ক্রিকেটারদের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দিতে চান না হাথুরুসিংহে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিক খেলার দিকেই তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ কোচ। “আমরা যখন এই টুর্নামেন্ট খেলতে আসি, আমাদের লক্ষ্য ছিল সুপার এইট। তো আমি মনে করি সেটি আমরা দারুণভাবে… বোলাররা আমাদের খেলায় টিকিয়ে রেখেছে। কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং নিজেদের পক্ষে কন্ডিশন কাজে লাগাতে পেরেছি।” “সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য বিষয়টা হলো, আমরা এখানে আসতে পেরে খুশি। আর এখান থেকে যা কিছু পাব, আমাদের জন্য বোনাস। তাই আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব এবং তিন দলের প্রতিটিকে যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।” পরক্ষণে স্বাধীনতার বিষয়টি খোলাসা করতেও সময় নেননি হাথুরুসিংহে। ক্রিকেটারদের নিজ নিজ দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। “আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি কেন? উপভোগ করার জন্য। তাই উপভোগের সুযোগটি আমরা ক্রিকেটারদের থেকে ছিনিয়ে নিতে চাই না। তবে এর মানে এমন না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে। প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে দলের প্রতি।” “অবশ্যই স্বাধীনতা আছে এবং দেশ, ক্লাব কিংবা এমনকি পার্ক ক্রিকেটে খেলার সময়ও উপভোগের বিষয়টি থাকবে। এজন্যই আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। তাই উপভোগের মন্ত্র সবসময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।”