রউফের আগুন ঝরা বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে গেলো অজিরা
স্পোর্টস ডেস্ক : দাপট দেখিয়ে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৬৩ রানে দিতে হারিস রউফ দখলে নেন ফাইফার। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটেই পাকিস্তানের ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়া, ১৪১ বল হাতে রেখে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল ম্যাচ জিতল ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর আজম। ২০১৭ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছে। ৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। প্রায় তিন দশক পর অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের ওয়ানডে জয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডে তাদের আগের ওয়ানডে জয় সেই ১৯৯৬ সালে। হারিস রউফের ফাইফার ছোঁয়ার দিনে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান উইকেটকিপিং গ্লাভস হাতে ক্যাচ নিয়েছেন ৬টি, যা ওয়ানডে ক্রিকেটে যৌথ-সর্বোচ্চ! অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ১৫ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের এটি দ্বিতীয় জয় – এবং অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ৩০ ম্যাচেও (সব ফরম্যাট) মাত্র দ্বিতীয় জয়। হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও এবার অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে পাকিস্তানের ১-১ সমতা। ১৬৪ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে সাইম আইয়ুব, আবদুল্লাহ শফিকের উদ্বোধনী জুটিতেই পাকিস্তান পেয়ে যায় ১৩৭ রান। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ৫২ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে সাইম আইয়ুব ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। তবে অ্যাডাম জাম্পা ইনিংসের ২১তম ওভারে এসে ভাঙেন জুটি, সাইম আইয়ুব প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮২ করে। তিনে নামা বাবর আজমকে নিয়ে এরপর জয়ের বাকি পথ এগিয়ে যান ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। শেষ অবদি জয় পেতে পাকিস্তানের লাগে কেবল ২৬.৩ ওভার। শফিক অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ৬৪ রানে। দলের জয়ে অবদান রাখা বাবর আজমের ব্যাট থেকে ২০ বলে আসে ১৫ রান। বাবরের ছক্কায় ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়ে সিরিজ সমতায় ফিরল পাকিস্তান। এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া খেলতে পারে কেবল ৩৫ ওভার। হারিস রউফ আর শাহীন শাহ আফ্রিদিদের পেস সামলাতে ব্যর্থ অজি ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনে নামা স্টিভ স্মিথ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে ম্যাথু শর্টের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার দশ উইকেটের সবক’টিই নেন পাকিস্তানের ৪ পেসার মিলে। হারিস রউফ একাই দখলে নেন পাঁচ উইকেট, তাও মাত্র ২৯ রান খরচায়। বাকি পাঁচ উইকেটের ৩টি যায় শাহীন শাহ আফ্রিদির পকেটে। নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন শিকার করেন ১টি করে উইকেট।