খেলাধুলা

বিপিএল খেলা ৯ ক্রিকেটার তুরুপের তাস হবে পাকিস্তানের জন্য

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের একমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিয়মিত অংশগ্রহণ থাকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারের। বিপিএলের শুরু থেকে ইমরান নাজির, শহীদ আফ্রিদি, কামরান আকমল, আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, সোহেল তানভীর, মোহাম্মদ সামিরা এসে বিপিএল মাতিয়েছেন। তাদের পথ ধরেই এখন মোহাম্মদ হারিস, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদিরা বিপিএলে নিয়মিত। তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন ঢাকাতে। আজ রোববার প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তান স্কোয়াডের হয়ে এবারের সফরে আসা ৯ ক্রিকেটার গত বিপিএলে অংশ নিয়েছেন। তাদের বাংলাদেশের খেলা অভিজ্ঞতা এবং ইনপুট নেওয়ার অপেক্ষায় পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা। মিরপুরে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বিপিএল খেলেছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের ইনপুট ও অভিজ্ঞতা নেওয়া। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাদের ইনপুট দিয়েছে, আমরা ওই অনুযায়ীই পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’’ সবশেষ দুই দলের দ্বিপক্ষিয় সিরিজে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। এবারও একই ফলের প্রত্যাশায় তারা। বাংলাদেশে আসার আগে পাকিস্তান করাচিতে ক্যাম্প করেছে। বাংলাদেশের মতো উইকেট সাজিয়ে তারা অনুশীলন করেছে বলে দাবি সালমান আগার, ‘‘আমরা করাচিতে ক্যাম্প করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি এখানের মতো একই ধরণের উইকেট প্রস্তুত করে প্রস্তুতি নেওয়ার। আমরা চাপ নিয়েছি। আমরা জানি এখানে আমাদেরকে কীরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি সেই রকমই হয়েছে।’’ তারকা ক্রিকেটার নিয়ে পাকিস্তান এবার বাংলাদেশে আসেনি। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি এবারের সিরিজেও দলের সঙ্গে নেই। তিন পেসার হারিস রউফ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের সঙ্গে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাদাব খানও ভুগছেন চোটে। ১৫ জনের স্কোয়াডে অনেকেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন। দুই পেসার আহমেদ দানিয়াল ও সালমান মির্জা একেবারেই নতুন। তাদের ওপর আস্থা রেখে সালমান বলেন, ‘‘পাকিস্তানের জন্য তারা বেশ ভালো করেছে। সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে খেলা উচিত। কিন্তু হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি প্রতি বছরই বদলে যাচ্ছে, সত্যি বলতে প্রতি ছয় মাসেই বদলায়। আমরা এখন যে ধরনে খেলতে চাই, আমাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে। আমাদের এখন যে খেলোয়াড়রা আছে, তাঁরা খুবই ভালো আর রোমাঞ্চকর। আমরা আমাদের খেলার ধরন বদলেছি। এভাবেই আমরা খেলতে চাই। কিন্তু কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখবো কন্ডিশন কেমন আর আমরা কীভাবে খেলতে চাই। যদি কন্ডিশন তেমন হয়, তাহলে আমরা খেলবে। যদি কন্ডিশন তেমন না হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ীই খেলবো। আমাদের লক্ষ্য গড়পড়তার চেয়ে ১০-১৫ রান বেশি করা। যখন আমরা বল করবো, তখন দলকে গড়ের চেয়ে কমে আটকে রাখা।’’ পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ১১ দ্বিপক্ষীয় সফরের ১০টিই হেরেছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। সেই সুখস্মৃতিতে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারে কিনা দেখার।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button