জিম্বাবুয়ের সাথে বড় ব্যবধানে জয় পেলো নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে করেছিল ১২৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে করে মাত্র ১১৭ রান। তাতেই মাত্র আড়াই দিনে এক ইনিংস ও ৩৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় কিউইদের। আর টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জয়। এর আগে ২০১২ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই নেপিয়ারে এক ইনিংস ও ৩০১ রানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এতদিন ওটাই ছিল তাদের সবচেয়ে বড় জয়। আর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় ইংল্যান্ডের। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে হারিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় অস্ট্রেলিয়ার, ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তারা হারিয়েছিল এক ইনিংস ও ৩৬০ রানের ব্যবধানে। নিউজিল্যান্ডের এই জয়টা এলো অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এক রান কমে (এক ইনিংস ও ৩৫৯ রানে) দ্বিতীয় দিনই রান পাহাড়ে চড়েছিল নিউজিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের সামনে দাঁড় করিয়েছিল ৪৭৬ রানের বিশাল লিড। সবারই ভাবনা ছিল, এ অবস্থায় আর কতদূর যাবে নিউজিল্যান্ড? এমনিতে মাত্র দু’দিন গেছে। আরও তিনদিন বাকি। বুলাওয়ের কুইন্স ওভাল পার্ক ব্যাটিং বান্ধব। সুতরাং, এখানে চাইলে আরও একদিন নির্দিধায় কাটিয়ে দিতে পারবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সে পথে আর হাঁটলো না। দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেটে ৬০১ রানে যে শেষ করলো, সেখানেই থেমে গেলো তারা। অর্থ্যাৎ, তৃতীয় দিন মাঠে নামার আগেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় মিচেল স্যান্টনাররা। ফলে জিম্বাবুয়েকে এখন ইনিংস পরাজয় এড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পেসার জাকারি ফকসের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুইয়ানরা। জাকারি একাই নেন ৫ উইকেট। নিক ওয়েলেক ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি কিউই বোলারদের সামনে। ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়েলেক। এছাড়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেন কেবল ক্রেইগ আরভিন। বাকিরা দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। জাকারি ফকস ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফি। ১টি উইকেট নেন ম্যাথ্যু ফিশার। এর আগে প্রথম দিন জিম্বাবুয়েকে ১২৫ রানে অলআউট করে দিয়ে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার ডেভন কনওয়ে উইল ইয়াংকে সঙ্গে নিয়ে ১৬২ রানের বিশাল জুটি গড়েন। ইয়াং ৭৪ রান করে আউট হলেও কনওয়ে নিজের ইনিংসে লম্বা করেন। ১৫৩ রানে আউট হন তিনি। প্রথম দিন ১ উইকেটে ১৭৪ রান করে কিউরা। ৪৯ রানে এগিয়ে থেকে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে কিউইরা। শুধু জ্যাকব ডাফি এবং ডেভন কনওয়ের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ডাফি করেন ৩৬ রান। এছাড়া চতুর্থ উইকেটে হেনরি নিকোলস এবং রাচিন রাবিন্দ্রা ২৫৬ রানের বিশাল জুটি গড়েন। দ্বিতীয় দিন শেষে নিকোলস ১৫০ এবং রাচিন রাবিন্দ্রা ১৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৭৬ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তৃতীয় দিন নিজেরা ব্যাট করতে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনটাও ঠিকমত শেষ করে পারেনি জিম্বাবুয়ে। অলআউট হয়েছে ২৮.১ ওভারে।