রাশিয়ার আরেকটি অঞ্চলের স্কুলে নিষিদ্ধ হলো হিজাব-নিকাব

প্রবাহ ডেস্ক : রাশিয়ার ভøাদিমির অঞ্চলের স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলোতে নতুন ড্রেস কোড ব্যবস্থার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের হিজাব ও নিকাবসহ ধর্মীয় পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার প্রকাশিত এক নথিতে আঞ্চলিক শিক্ষা ও যুব নীতি মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর ধর্মীয় অনুষঙ্গ প্রদর্শনকারী পোশাক এবং এর উপাদানগুলো (হিজাব, নিকাব ইত্যাদিসহ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত নয়। রাশিয়ার সংবিধানের পাশাপাশি ধর্মীয় সংগঠন ও শিক্ষা সম্পর্কিত ফেডারেল আইন অনুসারে এই বিধিমালা করা হয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে মুসলিম পোশাককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি’র খবরে বলে হয়েছে, ইসলাম ধর্মে নারীদের পরিধান করা হিজাব হল এক ধরণের স্কার্ফ, যা মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখে। অন্যদিকে নিকাব একটি পর্দা, যা সম্পূর্ণরূপে মুখ ঢেকে রাখে, চোখের জন্য কেবল একটি চেরা রেখে হয়। ভøাদিমির অঞ্চলটি মস্কো থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মূলত জাতিগতভাবে রাশিয়ানরাই জনবহুল। সেখানে ১ শতাংশেরও কম বাসিন্দা মুসলমান। আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ার আরও কয়েকটি অঞ্চল নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী মুখ ও মাথা ঢেকে রাখার পোশাক নিষিদ্ধ করেছে। এই গ্রীষ্মে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজাতন্ত্র কারাচায়েভো-চেরকেসিয়া এবং দাগেস্তানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। খ্রিস্টান ও ইহুদি সাইটগুলোকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার পর এটি করা হয়েছিল। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মুখ ঢাকার কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদনে বাধার মুখে পড়েন। আমি বিশ্বাস করি, যখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থ কিছু প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে, তখন প্রত্যেকেরই এটিকে পূর্ণ সম্মানের সাথে বিবেচনা করা উচিত। মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হয়েছে। গত বছর উজবেকিস্তান জনসম্মুখে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করেছিল, ব্যতিক্রম ছিল ধর্মীয় পোশাক ছাড়া। কাজাখস্তান এরইমধ্যে স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে এবং এই পদক্ষেপের পরিধি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। কিরগিজস্তান নারীদের ইসলামি নিকাব পরিধান এবং ঝাঁকড়া দাড়িওয়ালা পুরুষদের জন্য জরিমানারও প্রস্তাব করেছে।