খালিশপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত

# বীরমুক্তিযোদ্ধার ঘর ভাংচুর ও লুটপাট #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীর খালিশপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বীরমুক্তিযোদ্ধার ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালিশপুর পিপলস পাঁচতলা কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ রহিম খান (৭৮), ফারজানা আক্তার শান্তা(১৪) ও সবুরা বেগম। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা বাচ্চু (৫৫) কে সবার সামনে মারধর করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে শর্ত সাপেক্ষে তাকে ছেড়ে দেয় বলে ভিকটিম রহিম খান জানান। এ ব্যাপারে তিনি খালিশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহীম খান (৭৮)। বাসা/হোল্ডিং: ১০, গ্রাম/রাস্তা: পিপলস্ ৫ম তলা পূর্ব কাঁচা লাইন খালিশপুরের বাসিন্দা। রোকেয়া বেগম বাদীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে বাদীর ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত বাদীর ওপর হামালা চালায়। তারা দেশী অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এতে বাদীসহ উল্লেখিত তিনজন আহত হয়। মারধরের এক পর্যায়ে ২নং বিবাদী আমার নাতনীর গলায় থাকা চার আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। ৪নং-১০নং বিবাদী সহ অজ্ঞাত বিবাদীরা ঘরের ভিতরে ঢুকে হাতে থাকা লাঠি সোঠা দিলে কাঠের শোকেজ, থাই গ্লাসের শোকেজ, মিরসেপ, হাড়ি পাতিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করতে থাকে। ১নং- ৩নং বিবাদী উক্ত ভাংচুরে পরবর্তীতে অংশ গ্রহন করে। ভাংচুরের এক পর্যায়ে বিবাদীরা ঘরের বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাত করতে থাকে। যাতে আমার এক লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদেরকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ও থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে প্রতিপক্ষের নিকটতম লোক বাবু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আঃ রহিম যেসব অভিযোগ করেছে তার সত্যতা নেই। নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। তাদের কর্মী শিল্পীর ওপর রহিম খানের লোকজন হামলা করে। বাচ্চুকে যৌথ বাহিনী ধরে, তবে পরে ছেড়ে দেয়। ওসি খালিশপুর থানা জানান, বাড়ি ভাড়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পরে যৌথ বাহিনী ও থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। যৌথ বাহিনী বাচ্চু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ছেড়ে দেয়। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে তিনি জানান।
হেডলাইন টা আরো ভাল করে লেখা উচিত ছিল, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে মারধর বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করেছে। অথচ হেডলাইন সেই ভাবে হয়নি।